TuitionApp is now available now on iOS and Android!
Download NowPublished: 09 Feb, 2025
আমাদের জীবনযাত্রা দিন দিন ব্যস্ত হয়ে উঠছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য সময়ের সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রাইভেট টিউশন, সহশিক্ষা কার্যক্রম-এসব কিছু সামলাতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে যদি সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতার সাথে করা যায়, তাহলে পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য কাজও সহজে করা সম্ভব।
সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করার দক্ষতা অর্জন করা কেবল শিক্ষাজীবনের জন্যই নয়, ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই চলুন জেনে নিই শিক্ষার্থীদের জন্য ৫টি কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনা কৌশল, যা অনুসরণ করলে পড়াশোনায় সফলতা আসবেই।
সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি হলো নিয়মিত একটি রুটিন মেনে চলা। যখন আপনি নিজের দৈনন্দিন কাজগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী সাজিয়ে ফেলবেন, তখন আর কোনো কাজ বাদ যাবে না এবং আপনি ধাপে ধাপে সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
অনেক শিক্ষার্থীই রুটিন তৈরি করলেও তা অনুসরণ করতে পারে না। তাই বাস্তবসম্মত একটি পরিকল্পনা তৈরি করাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ক্লাস, পড়াশোনা, বিশ্রাম, খাবার, বিনোদন-এসবের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখুন। যদি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়াশোনার অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, তাহলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয় এবং একসময় এটি স্বভাব হয়ে দাঁড়ায়।
একজন শিক্ষার্থীর সামনে অনেক কাজ থাকে, তবে সব কাজের গুরুত্ব একরকম নয়। তাই প্রথমে জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো চিহ্নিত করুন।
অনেকেই সহজ কাজগুলো আগে করতে চায়, কিন্তু এতে সময় নষ্ট হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করতে গিয়ে তাড়াহুড়া করতে হয়। বরং যে কাজগুলো সময়সাপেক্ষ এবং জরুরি সেগুলো আগে শেষ করুন, এতে মানসিক চাপও কমবে।
যেমন, আসন্ন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া বা জরুরি অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অন্যদিকে, কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পরে করা যেতে পারে।
সময় ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মনোযোগ ধরে রাখা। স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, টেলিভিশন বা অন্যান্য বিষয় অনেক সময় আমাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে বাধা দেয়।
তাই যখন পড়তে বসবেন, তখন সব ধরনের বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করুন। মোবাইল ফোন সাইলেন্ট মোডে রাখুন, যদি সম্ভব হয় তাহলে কিছুক্ষণের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখুন। একটি নিরিবিলি জায়গায় বসে পড়াশোনা করুন, যেখানে বাহ্যিক শব্দ কম থাকবে।
অনেকেই মনে করেন একসাথে অনেক কাজ করা (মাল্টিটাস্কিং) ভালো, কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে এতে কাজের গুণগত মান কমে যায় এবং সময়ও বেশি লাগে। তাই একটি কাজ শেষ করে তারপর অন্যটিতে যান, এতে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
একটানা অনেকক্ষণ পড়াশোনা করলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে যায় এবং পড়াশোনার কার্যকারিতা কমে যায়। তাই প্রতিবার ৩০-৪৫ মিনিট পড়ার পর ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিন।
বিরতির সময় হালকা ব্যায়াম করা, একটু হাঁটাহাঁটি করা বা চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকা যেতে পারে। এতে মন সতেজ থাকবে এবং পড়ার প্রতি আগ্রহ বজায় থাকবে।
অনেকে মনে করেন বেশি সময় ধরে টানা পড়াশোনা করলেই ভালো ফল পাওয়া যায়, কিন্তু বাস্তবে এটি একদমই কার্যকর নয়। বরং নিয়মিত বিরতি নিয়ে পড়লে মস্তিষ্ক আরও কার্যকরভাবে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে।
শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না, তা বাস্তবায়ন করার জন্য সুস্থ থাকা জরুরি। অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার আগে রাত জেগে পড়াশোনা করে, যা শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর।
প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, কারণ পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মনে রাখার ক্ষমতা কমে যায় এবং মনোযোগ নষ্ট হয়। তাছাড়া, সুস্থ থাকার জন্য সুষম খাদ্যগ্রহণ এবং ব্যায়াম করাও প্রয়োজন।
সুস্থ দেহ এবং সুস্থ মস্তিষ্ক থাকলে আপনার কাজের গতি বাড়বে, একাগ্রতা বাড়বে এবং পড়াশোনায় আরও ভালো ফলাফল আসবে।
সফল শিক্ষার্থীরা কেবল কঠোর পরিশ্রম করে না, তারা সময়কেও সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানে। সঠিক সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আপনি শুধু পড়াশোনায় ভালো করবেন না, বরং মানসিক চাপও কম হবে এবং ব্যক্তিগত সময়ও উপভোগ করতে পারবেন।
আজ থেকেই একটি কার্যকরী রুটিন তৈরি করুন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করুন, মনোযোগের ব্যাঘাত কমান, মাঝেমধ্যে বিরতি নিন এবং সুস্থ জীবনযাপন বজায় রাখুন। তাহলেই আপনি সহজেই আপনার শিক্ষাজীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন
আরও পড়ুনঃ
বেস্ট এক্সপেরিয়েন্সের জন্য মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন
Download App
Connecting Learners and Teachers for a Brighter Future.
Download Our App Now!